নিজম্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন,“আমি আগেও বলেছি তাকে পাবনায় নিয়ে চিকিৎসা করা হোক। নয়তো দেশি বিদেশি ডাক্তার দিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। কেননা পাগল না হলে কেই বলতে পারে জিয়া প্রথম রাষ্ট্রপতি।”
তিনি আরো বলেন, “পাগলের হাতে খুন্তি থাকলে কী হবে আমরা তা ভালোই জানি। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।”
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রোববার বিকেলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে এ সব কথা বলেন তিনি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার দিবস উপলক্ষে এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
আমু বলেন, “বাংলার মানুষ তাদের (বিএনপি) দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেবে। সময় থাকতে ভুল না শোধরালে উপযুক্ত জবাবের জন্য প্রস্তুত থাকুন। নেতাকর্মীদের রাজনৈতিকভাবে বিএনপিকে মোকাবিলার আহ্বান জানান আমু।”
তিনি আরো বলেন, "যখনই আপনারা (বিএনপি) বিফল হন, তখনই ভিন্ন ভাষায় কথা বলেন। এ জাতীয় বিতর্ক করে লাভ নেই। যদি এ পথ পরিবর্তন না করেন তা হলে জনগণ দৃঢ় প্রতিশোধ নিয়ে রাজনীতির নাম ভুলিয়ে দেবে। রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করবে।"
শিল্পমন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতা দিবসে লাখো কণ্ঠে নয়, বাংলার গ্রামে গ্রামে কোটি কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত ধ্বনিত হয়েছে। আন্দোলন গিনেজ বুকে তুলতে চান খালেদা জিয়া। গিনেস বুকে উঠানোর মতো আন্দোলন করার ক্ষমতা তাদের নেই।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে অপরাজনীতি শুরু হয়েছে। যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি তারা এটা করছে। যারা ৭ মার্চের ভাষণ মানেনি। তারা আজকে নতুন সুর তুলেছে। তাদের উদ্দেশ্য স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় পতাকা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা। যখনই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির উত্থান দেখেন তখনই তাদের গাত্রদাহ করে। এ অপশক্তি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির উত্থান দেখে নির্লজ্জ, বেহায়া ও হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে।”
ত্রাণ ও দূযোর্গ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, “যুদ্ধাপরাধীর বিচার কেন শেষ হচ্ছে না আমার বোধগম্য নয়। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা আমার বয়স হয়েছে মারা যাবার আগে এইসব রাজাকারের বিচার দেখে যেতে চাই। দেখে যেতে চাই সকল রাজাকারের ফাঁসি হয়েছে।”
তিনি বলেন, “১৯৯৬ সালে ৩০ মার্চ পতনের মাধ্যমে এ উচিত শিক্ষা দেবার পরও তিনি কীভাবে রাজনীতি করেন আমি বুঝি না। যা হোক তিনি রাজনীতি করছেন, তকে আমি স্বাগত জানাই।”
তিনি বলেন, “তার সব কিছুই মিথ্যা জন্মদিন মিথ্যা, কর্ম মিথ্যা, তার রাজনীতির শুরু মিথ্যা দিয়ে শেষটা কীভাবে হবে আমার জানা নেই।”
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, “জনগণকে সাথে নিয়ে যদি আন্দোলন করতে পারেন করেন। তবে আন্দোলনের নামে যদি নৈরাজ্য করেন তবে এমন শিক্ষা দেব জীবনে কোনোদিন আন্দোলনের নাম মুখে আনতে পারবেন না। নৈরাজ্য করলে উচিত শিক্ষা পাবেন।”
‘সরকারের বিরুদ্ধে যে গণঅভ্যুত্থান হবে তা গ্রিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে লেখা থাকবে’ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের সমালোচনায় এ সব কথা বলেন তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন