সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০১৪

জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস-মাদককে ‘না’ বলুন: প্রধানমন্ত্রী

জেএম মাসুদ,গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে টুঙ্গীপাড়ার জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়তে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

জাতির জনকের জন্মবার্ষিকীতে সোমবার সকালে টুঙ্গীপাড়ায় তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা হাসিনা। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদও শ্রদ্ধা জানাতে টুঙ্গীপাড়া গিয়েছিলেন।

শ্রদ্ধা জানানোর পর বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্সে শিশু সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী, যাতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় বিদ্যালয় মালেকা একাডেমির দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী লুবাইনা রুবাব সাফা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকদ্রব্য জীবনকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। সকলকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদককে না বলতে হবে।”

“আমরা চাই শিশুরা নিরাপদ জীবন পাবে। সেজন্য জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকদ্রব্য থেকে জাতিকে দূরে রাখতে চাই,” বলেন সরকার প্রধান।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় এস এম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র শাহরিয়ার আলম মাহিন স্বাগত বক্তব্যে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

সাবিহা জামান লিমা ও সৌরভ পাল শুভ নামে দুই শিশুর পরিচালনায় ধর্মগ্রন্থ থেকেও পাঠ করে শোনান শিশুরা। কোরআন থেকে পাঠ করে মোহাম্মদ উল্লাহ, গীতা পাঠ করেন মানসী বিশ্বাস, বাইবেল থেকে পাঠ করে পিটার বম এবং ত্রিপিঠক পাঠ করে মাচিং মারমা।

অনুষ্ঠানে সাহিত্য ও সাংস্কৃতি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে ক্রেস্ট ও সনদ বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী তার সাড়ে নয় মিনিটের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বলেন, “আমি ছোট্ট শিশুদের বক্তৃতা শুনে নিশ্চিন্তে বলতে পারি, ভবিষ্যতে তারা আরো ভালো বক্তৃতা দিতে পারবে। তারাই তো মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী হবে।”

উপস্থিত শিশুদের পড়াশোনায় মনোযোগ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ গঠনে আত্মনিয়োগের পরামর্শ দেন হাসিনা। খেলাধুলা এবং সংস্কৃতি ও শরীর চর্চায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

মার্চকে বাংলাদেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ মাস উল্লেখ করে হাসিনা বলেন, “৭ই মার্চ জাতির পিতা তার ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। ১৭ মার্চ জাতির পিতাকে আমরা পেয়েছি। ২৬ মার্চ জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান।”

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ গড়তে সরকার সচেষ্ট জানিয়ে তিনি বলেন, “জাতির পিতা চাইতেন, বাংলাদেশের মানুষ দরিদ্র থাকবে না। বাংলাদেশ উন্নত হবে। কোনো শিশু না খেয়ে মারা যাবে না। কোনো শিশু নিরক্ষর থাকবে না। সকলে শিক্ষা পাবে।”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন