নিজম্ব প্রতিবেদক: রাজপথে আন্দোলন করার হুঙ্কার দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, "আমরা রাজপথে নামব কেউ আমাদের আটকাতে পারবেনা। যতোই পুলিশ ও গুন্ডা বাহিনী দিয়ে গুলি-অত্যাচার করা হোক না কেন আমাদের কেউ আটকাতে পারবে না। দ্রুত অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে তাদের বাধ্য করা হবে।"
শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত নেতাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
১৯ দলীয় জোট নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়া বলেন, "বর্তমান এই অবৈধ সরকারের দেশের প্রতি কোনো দরদ নেই। তাদের দরদ অন্য দেশের প্রতি। তারা অন্যের প্রতি আনুগত্য হয়ে দেশের সমস্ত কিছু অন্য দেশের হাতে তুলে দিয়েছে। এমনকি তারা যা কিছু চাচ্ছে সবই দিয়ে দিচ্ছে। এখন শুধু দেশটাকে তুলে দেয়ার বাকি। কোনদিন হয়তো সেটাও দিয়ে দেবে। দেশে এখনও বিবেক বানরা আছেন তারা সেটা হতে দেবে না। সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করবে। দেশের বিবেকবান সমাজ ও সকল রাজনৈতিক দল এই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের শরীক হবে। "
তিনি বলেন, "৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। জনগণের অংশগ্রহণ বিহীন তামাশার নির্বাচনের পর সরকার নিজেদের জনপ্রিয়তা দেখানোর জন্যে উপজেলা নির্বাচনেও নিজেদের প্রার্থীদের জয়ী করতে দলীয় ক্যাডারদের লেলিয়ে দিয়েছে।"
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, এই সরকার একটি অবৈধ সরকার। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। খুন, গুম, জুলুম-নির্যাতন করে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। এই খুনী সরকারের বিরুদ্ধে আমরা রাজপথে নামবো।"
বেগম জিয়া বলেছেন, "জনগণ আওয়ামী লীগকে চায়না। জাতীয় ও উপজেলা নির্বাচনে মানুষ তা প্রমাণ করেছে।"
তৃতীয় দফা উপজেলা নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, "সুষ্ঠু নির্বাচনের নামে আ'লীগ জালভোট, ব্যালটবাক্স ছিনতাই, কারচুপি করছে।"
"দেশকে বাঁচাতে হলে নিজেরা রক্ষা পেতে হলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। না হলে দেশকে সার্বভৌম রাখা যাবে না। দেশকে সার্বভৌম রাখতে হবে। দেশ স্বাধীন হয়েছিল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অবৈধ সরকার মানুষের সেই অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা ক্ষমতায় থাকলে হত্যা নির্যাতন বন্ধ হবে না।" বলেন বেগম জিয়া।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন