বুধবার, ১২ মার্চ, ২০১৪

সাংবাদিক-আইনজীবীদের হট্টগোল

নিজস্ব প্রতিবেদক : আদালত অবমাননার মামলায় শুনানি চলাকালে আজ বুধবার হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চের ভেতরে ও পরে বাইরে হট্টগোল হয়েছে।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মিজানুর রহমান খানের লেখা ‘মিনিটে একটি আগাম জামিন কীভাবে?’ শীর্ষক একটি উপসম্পাদকীয় প্রথম আলোর খোলা কলম পাতায় প্রকাশিত হয়। এরপর আদালত অবমাননার অভিযোগে ২ মার্চ প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের বিরুদ্ধে রুল দেন হাইকোর্ট।

আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে শুনানিতে গত বৃহস্পতিবার গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা পেশা নিয়ে কথা বলেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ। তাঁর ওই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে গত শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবদিক সমিতি ও বরিশাল বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতি আলাদা বিবৃতি দেয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এই বিবৃতি পরদিন রোকন উদ্দিন মাহমুদ আদালতের নজরে আনেন।

বিবৃতি দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান; বরিশাল বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি এম এম জসিম ও সেক্রেটারি সাদ্দাম হোসেন; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি কাজী মোবারক হোসেন ও সেক্রেটারি এম সুজাউল ইসলামকে আজ আদালতে হাজির হতে বলা হয়।

এই আটজনের একজন ইলিয়াস খান দুটি পদে আছেন এবং আবদুর রহমান হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকি ছয়জন আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালত অবমাননার বিষয়ে হাজিরা দিতে যান।

বেলা পৌনে ১১টায় বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বসেন। সাংবাদিক নেতাদের পক্ষে আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, এই চার সংগঠনের আট পদে থাকা ব্যক্তিদের আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল। তাঁদের একজন দুটি পদে আছেন আর একজন হাসপাতালে আছেন।

এ সময় আদালত কক্ষে বিপুলসংখ্যক সাংবাদিক ও আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। আদালতের কার্যক্রম চলার সময় একপর্যায়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আইনজীবীদের বাগবিতণ্ডা হয়। আইনজীবী ও সাংবাদিক নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এ সময় অনেক আইনজীবী সাংবাদিকদের বের হয়ে যাওয়ার জন্য চিত্কার করতে থাকেন। এ অবস্থায় বেলা ১১টার দিকে এজলাস ত্যাগ করেন বিচারপতিরা।

একপর্যায়ে এজলাসকক্ষের বাইরেও সেটি ছড়িয়ে পড়ে। বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত এ অবস্থা চলে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন