বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৪

রানা প্লাজার স্মৃতিকে ভুলে থাকতে চান রেশমা

নিজস্ব প্রতিবেদক; কর্মস্থল ওয়েস্টিন হোটেল থেকে এক মাসের ছুটি পেয়েছেন
রেশমা আক্তার, এক বছর আগে নয়
তলা ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৭
দিন পর যাকে উদ্ধার করা হয়েছিল।
ছুটি কাটাতে রেশমা চলে গেছেন
সাভারের রাজাসনে ভগ্নিপতির
বাড়িতে, যেখান
থেকে রানা প্লাজার দুরত্ব মাত্র
কয়েকশ’ গজ। গত বছরের ২৪ এপ্রিল এই
রানা প্লাজা ধসে ১১৩৫ জন নিহত
হন।
আগের কর্মস্থলের এত
কাছে থেকেও একবছর আগের
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ১৭ দিন
কাটানোর কোনো স্মৃতিতেই আর
ফিরতে রাজি নন ১৯ বছর
বয়সী রেশমা।
“আমি ওই ঘটনা মনেও
করতে চাচ্ছি না।
মনে করতে আমার খারাপ লাগে,
এটা আপনাদের বুঝতে হবে প্রতিবেদককে
রেশমা। ২৪ এপ্রিল নয়তলা ভবন
রানা প্লাজা ধসে পড়ার পর
প্রথমে জীবিতদের
উদ্ধারে হালকা যন্ত্রপাতি ব্যবহার
করে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়, এরপর
জীবিত আর কেউ নেই-এরকম
ধরে নিয়ে ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয়
ভারী যন্ত্রপাতির ব্যবহার।
যখন ধ্বংসস্তূপ থেকে একের পর এক
গলিত লাশ বের হচ্ছিল, তখনি ১০
মে বিকালে তিনতলা থেকে জীবিত
বের করা হয় রেশমা আক্তারকে।
এরপর
রেশমাকে নিয়ে সাংবাদিকরা ব্যাপক
কৌতূহলী হয়ে ওঠে।
রেশমা কী খেয়ে ১৭ দিন
বেঁচে থাকলেন এবং তার পোশাক
এত পরিচ্ছন্ন দেখাচ্ছে কেন,
তা নিয়ে রেশমাকেই প্রশ্ন করা শুরু
করেন।
রেশমার উদ্ধারের কিছুদিন পরই
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড সানডে মিরর
রেশমা উদ্ধারের ঘটনা ‘সাজানো’
বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
মিররের বরাত
দিয়ে বাংলাদেশর বেশ
কয়েকটি দৈনিকেও ওই প্রতিবেদন
প্রকাশিত হয়, তবে এ
প্রতিবেদনটিকে নাকচ করে দেয়
উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব
দেওয়া সেনাবাহিনী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন