নিজম্ব প্রতিবেদক: লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা কর্মসূচিতে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে এরই মধ্যে উপস্থিতি ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আজ বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। আজ সকাল থেকেই জন স্রোত আসতে থাকে প্যারেড গ্রাউন্ডের দিকে। বেলা ১১টায় জাতীয় সংগীত শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ১০টার মধ্যেই মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়। গেট দিয়ে অংশগ্রহণকারীর টার্গেট পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যে ১১, ১৪ ও১৫ নম্বর গেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ১১ নম্বর গেটটি পৌনে ৯টার দিকে বন্ধ করে দেয়া হয়। এর আগে ১৪ ও ১৫ নম্বর গেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর ফলে অন্য গেটগুলোতে প্রচণ্ড চাপ পড়েছে।
১৪ ও ১৫ নম্বর গেট বন্ধ করে দেয়া হলেও সেনাবাহিনী ও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মানুষ ঢুকতে থাকে। পরে গেট দুটি ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়া হয়। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ঢোকার জন্য ১৫টি গেট রয়েছে। প্রত্যেকটি গেট দিয়ে ২০ হাজার লোক ঢোকানোর টার্গেট রয়েছে। ১৪ ও ১৫ নম্বর গেট সামরিক জাদুঘরের বিপরীত দিকে অবস্থিত। তাই নিরাপত্তার জন্য সকাল সাড়ে ৭টার দিকেই ১৫ নম্বর গেট বন্ধ করে দেয়া হয়।
এর পর সাড়ে ৮টায় বন্ধ করে দেয়া হয় ১৪ নম্বর গেট। এ দুটি গেট বন্ধ করে দেয়ার অন্যান্য গেটে প্রচণ্ড চাপ পড়ে যায়। মানুষ ঢুকতে না পেরে ১৪ ও ১৫ নম্বর গেটের কাছে বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায়ে তার সেনাবাহিনী ও পুলিশের বাধা উপক্ষো করে গেট খুলে ঢুকে যায়। পরে ব্যারিকেড দিয়ে গেট দুটি আটকে দেয়া হয়।
এদিকে মাঠে জায়গা না পেয়ে বাহিরে অংশ নিচ্ছে আরো প্রায় কয়েক লাখ মানুষ। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম এতো বেশি মানুষের অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হচ্ছে। যা ইতোপূর্বে গাওয়া পৃথিবীর সব সংগীতের রেকর্ড ভঙ্গ করবে। আর এনিয়ে সমগ্র জাতির মধ্যে দেখা দিয়েছে প্রবল আগ্রহ-উদ্দীপনা। পল্লবী থানার এসআই দুলাল বলেন, আমাদের প্রত্যেকটা গেটে একটি লিমিটেশন রয়েছে। প্রত্যেক গেটে ২০ হাজার করে লোক ঢোকানোর কথা। এ টার্গেট পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় গেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
 
 
  
 
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন