সোমবার, ৩ মার্চ, ২০১৪

শিক্ষার্থীদের ব্যানার পুড়িয়ে দিল ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি)
বেদখলে থাকা আজমল হোসেন হল
উদ্ধারে নিষ্ফল অভিযান
চালিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার বেলা ১২টায় ১০ সদস্যের
শিক্ষার্থী প্রতিনিধি দল হলের
পাশের
একটি ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের
ব্যানার টানিয়ে দেয়। এর কিছুক্ষণ
পরই ব্যানারটি পুড়িয়ে ফেলেন
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পুলিশ ও
ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে হল ভবনের
কাছে পেঁৗছতে পারেননি শিক্ষার্থীরা।
তবে এ অভিযানকে সফল
বলে দাবি করেছেন জবি হল
পুনরুদ্ধার ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের
আহক্ষায়ক এফএম শরিফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, দখলদাররা দেশীয়
বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে পথ রুখে দেয়।
তাই আমরা পাশের ভবনে ব্যানার
টানিয়েছি।
যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানার
পুড়িয়েছে তাদের চিহ্নিত
করে আইনি সহায়তা নেয়া হবে বলে জানান
তিনি। পূর্ব ঘোষিত
কর্মসূচি অনুযায়ী রোববার সকাল
৯টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল
করেন শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার
দিকে পাটুয়াটুলীতে শহীদ আজমল
হোসেন হল উদ্ধারের
উদ্দেশে কয়েক হাজার
শিক্ষার্থী মিছিলসহ রওনা হন।
বাংলাবাজার মোড়ে পুলিশ
তাদের বাধা দেয়। পুরো রাস্তায়
ব্যারিকেড দিয়ে শিক্ষার্থীদের
পথ রোধ করে দেয় পুলিশ। বাধ্য
হয়ে রাস্তায় অবস্থান নেন
শিক্ষার্থীরা। এ সময় আগুন
জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন
তারা। এতে সদরঘাটে যানচলাচল
বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ
শিক্ষার্থীরা পথচারীদের
থামিয়ে দেন।
ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত
হয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দেন। এ সময়
লালবাগ জোনের ডিসি হারুন
সাংবাদিকদের বলেন,
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের
সংঘর্ষ বাধতে পারে। তাই
শিক্ষার্থীদের
যেতে দেয়া হচ্ছে না।
পরে বিক্ষোভ তীব্রতর রূপ নিলে দুপুর
১২টার দিকে ১০
শিক্ষার্থীকে ব্যানার
নিয়ে হলের
দিকে যেতে অনুমতি দেয় পুলিশ।
কিন্তু শিক্ষার্থীরা হলের
কাছে পেঁৗছানোর আগেই
ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে পড়েন।
রমাকান্ত নন্দী লেনের
মুখে অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী ও
দোকানদার লোহার সিকের গেট
আটকে বিক্ষোভ করে। আজমল
হোসেন হলে যেতে ১০০ গজ
আগে গলির
মুখে একটি ভবনে ব্যানার
টানিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা সেখানে দুই মিনিট
অবস্থানের পর ফিরে আসেন। এরপরই
ব্যানারটি নামিয়ে পুড়িয়ে দেন
ব্যবসায়ীরা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন