বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০১৪

উপজেল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাউফল-কালিশুরী সড়কে হামলা; প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীসহ আহত ২৫

বাউফল প্রতিনিধি: বাউফলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত
প্রার্থীর নেতৃতে বিএনপির
বিদ্রোহী প্রার্থী ওপর হামলার
ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত
হয়েছে কমপক্ষে ২৫জন। এসময়
৩টি মোটরসাইকেল ভাংচুরসহ বাউফল-
কালিশুরী সড়কে ২০ কিলোমিটার
এলাকায় জুড়ে লাঠিসোটা,
ধারালো অস্ত্র ও পিস্তল
উচিয়ে মটরসাইকেল মহড়া দেয় আ.লীগ
কর্মীরা। আজ বুধবার দুপুর পৌনে ১টার
দিকে মদনপুরা ইউপির
চন্দ্রপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এতে উপজেলার সর্বত্র আতঙ্ক
ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, চেয়ারম্যান
প্রার্থী তসলিম তালুকদার
চন্দ্রপাড়া বাজার
সড়ক দিয়ে কালিশুরীর
উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন।
চন্দ্রপাড়া পৌঁছামাত্র তাঁর
মটরসাইকেলের গতি রোধ করে আ.লীগ
সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মজিবুর
রহমান মুন্সির নেতৃত্বে প্রায়
২০০ মটরসাইকেল
নিয়ে এলোপাথারি তসলিমের ওপর
হামলা চালানো হয়। গায়ের পোশাক
ছিড়ে ফেলে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর
করা হয় তসলিমকে।
একপর্যায়ে চেয়ারম্যান
প্রার্থী তসলিম আত্ম
রক্ষার্থে দৌঁড়ে একটি দোকানে আশ্রয়
নেন। ওই দোকানে একঘন্টা অবরুদ্ধ
থাকার পর ভ্রাম্যমান আদালতের
ম্যাজিষ্ট্রেট গিয়ে তাঁকে উদ্ধার
করে। আ.লীগ কর্মীদের ওই হামলায় আহত
হয় উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি সাইফুল
ইসলাম ঝুরন, যুবদল আহবায়ক মো. জসীম
উদ্দিন, যুবদল ও ছাত্রদল নেতা আনোয়ার
হোসেন, মানিক, সাদ্দাম, লিটন, নুরুল হক,
লাভলু এবং স্থানীয় লোকজনসহ
কমপক্ষে ২৫জন। এ ঘটনার পর আ.লীগ
কর্মীরা প্রায় ৩০০ মোটরসাইকেল
নিয়ে উপজেলা শহর
থেকে কালিশুরী বাজার পর্যন্ত প্রায়
২০ কিলোমিটার সড়কে বিভিন্ন
ধরণের অস্ত্রসহ মহড়া দেয়।
এতে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ
ব্যাপারে আ.লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান
প্রার্থী মজিবুর রহমান মুন্সি বলেন,
‘আমার বড় ছেলেকে পিস্তল
ঠেকিয়েছে তসলিম চেয়ারম্যান।
কিন্তু ভাগ্যগুনে সে বেঁচে যায়।
তখন তসলিম জনতার
রোষানলে পড়ে।’ চেয়ারম্যান
প্রার্থী মো. তসলিম তালুকদার বলেন,
‘আজ বুধবার সাপ্তাহিক হাট থাকায়
গণসংযোগের
উদ্দেশ্যে কালিশুরী বাজারে
যাচ্ছিলাম। কিন্তু আ.লীগ
প্রার্থী মজিবুর মুন্সির
নেতৃত্বে চন্দ্রপাড়া বাজারে আমার
ওপর ব্যারিকেট দিয়ে ২০০ থেকে ৩০০
মটরসাইকেল
নিয়ে হামলা চালানো হয়
যাতে আমি গণসংযোগে যেতে না
পারি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন