নিজস্ব প্রতিবেদক: আবারো বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৯দলীয় জোটের আন্দোলন মোকাবিলায় কৌশলী অবস্থান নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এ জন্য ২২ ও কাল ২৩ এপ্রিল ঢাকা থেকে তিস্তা অভিমুখে বিএনপির লংমার্চকে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থায় থাকার জন্য দলটির নেতাকর্মীদের সর্তক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
শুধু তাই নয়, এই লংমার্চ কর্মসূচির রুটের ওপর ভিত্তি করে এটিকে ঘিরে অবস্থান নেবে সরকারি দল। ইতোমধ্যেই এ রুটের জেলার নেতাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ১৯দলের লংমার্চ থেকে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা কিংবা নৈরাজ্য করলে কঠোরভাবে দমন করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
সরকার দলীয় নেতারা আশঙ্কা, বিএনপির তিস্তা অভিমুখে লংমার্চকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। তাদের দাবি, এর আগে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন কর্মসূচিতে সংঘর্ষ বাধিয়ে সরকারের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছে বিএনপি। এবার যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সেদিকে কড়া দৃষ্টি রাখবে মতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
তাদেরমতে, বিএনপির এই লংমার্চ কর্মসূচির রাজনৈতিক রূপের ওপর নির্ভর করছে এটিকে ঘিরে সরকার বা আওয়ামী লীগ কোন ধরনের অবস্থান নেবে। তবে আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে দেয়া হবে না।
জানা গেছে, বিএনপির লং মার্চ কর্মসূচির প্রথম দিন চারটি স্থানে পথসভা হবে। উত্তরা, জয়দেবপুর, কোনাবাড়ি হয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পৌঁছার পর সেখানে প্রথম পথসভা হবে। এরপর টাঙ্গাইলে দ্বিতীয়, সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় তৃতীয় এবং বগুড়ায় চতুর্থ পথসভা শেষ করে সন্ধ্যায় রংপুরে পৌঁছাবে লং মার্চ। রাতে রংপুরে যাত্রা বিরতি করবেন নেতারা। পরদিন সকালে রংপুরে সমাবেশের মধ্য দিয়ে ডালিয়া অভিমুখে যাত্রা শুরু করবেন বিএনপি নেতারা। ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারেজের কাছে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুদিনের এই কর্মসূচি। বিএনপির এই লংমার্চ কর্মসূচির রুটের ওপর নির্ভর ভিত্তি করে এটিকে ঘিরে অবস্থান নেবে সরকার ও আওয়ামী লীগ।
 
 
  
 
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন