নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলর
নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণ ও
হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদল করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের পর
নারায়ণগঞ্জে আসা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মামুনুর রশিদ মণ্ডলকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জেলার পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন
জানিয়েছেন।
বুধবার রাতে নজরুল ইসলামের পরিবারের
সদস্যরা অভিযোগ জানানোয়
মামলার সুষ্ঠু তদন্তের
স্বার্থে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের
পরিদর্শক আব্দুল আউয়ালের
জায়গায় নবাগত ওসিকে দায়িত্ব
দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার নজরুলের
স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি,
তার শ্বশুর শহীদুল ইসলামসহ
পরিবারের সদস্যদের নিজের
কার্যালয়ে ডেকে কথা বলেন
পুলিশ সুপার। সেখান থেকে বেরিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে এ
হত্যাকাণ্ডের মূল সন্দেহভাজন
নূর হোসেনের সখ্য থাকার
অভিযোগ তোলেন বিউটি।
ফতুল্লা মডেল থানার এসআই ফজলুল
হক তালুকদার প্রথমে মামলা তদন্তের
দায়িত্বে ছিলেন। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল
আউয়ালকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়।
গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ
সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর
ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল,
আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ
সাতজন অপহৃত হওয়ার তিনদিন পর
শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ
পাওয়া যায়। তাদের অপহরণের পরই আরেক কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ
থানা আওয়ামী লীগের
সহসভাপতি নূর হোসেনকে প্রধান
আসামি করে একটি মামলা করেন
নজরুলের স্ত্রী। তবে লাশ পাওয়ারও তিন দিন পর নূর হোসেনের বাড়িতে অভিযান
চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তার
বাড়ি থেকে একটি মাইক্রোবাস
জব্দ ও কয়েকজনকে আটক করা হলেও
তাকে পায়নি পুলিশ। এদিকে সাতজনকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় র্যাবের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠায়
নারায়ণগঞ্জে র্যাবের তৎকালীন
কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মাহমুদসহ তিন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুৎ
করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০১৪
নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদল
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন