রবিবার, ৪ মে, ২০১৪

গলাচিপার রামনাবাদের পারে লাশের সারি, আট লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ২৫

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: কালবৈশাখী ঝড়ে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার রামনাবাদ নদীতে প্রায় ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রীবাহী একটি লঞ্চ ডুবে গেছে। আজ শনিবার বিকেল ৩টায় ওই উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ইছাদি মিয়া বাড়ির মোড় এলাকায় শাথিল-১ নামের লঞ্চটি ডুবে যায়। এ দুর্ঘটনায় আজ রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আটজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া কলাগাছিয়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপুলিশ পরির্দশক (এসআই) হালিম খন্দকার জানান, আরো প্রায় ২৫ যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, দুপুর ১২টায় শাথিল লঞ্চটি গলাচিপা থেকে উল্লেখিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। পথে ইছাদি মিয়া বাড়ির মোড় নামক স্থানে উল্লেখিত সময় হঠাৎ কালবৈশাখীর কবলে পড়ে লঞ্চটি ডুবে যায়। পরে স্থানীয় জনতা ও স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে পাঁচ মহিলা, এক পুরুষ ও দুই শিশুসহ আটজন যাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে। এদের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে বলে জানান কলাগাছিয়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত এস আই হালিম খন্দকার। লাশের সুরাতহাল চলছে এ কারণে লাশ পরিচয় সম্পর্কে নাম ঠিকানা জানাতে পারেনি তিনি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে লঞ্চডুবির খবর পেয়ে যাত্রীদের স্বজনরা রামনাবাদের পাড়ে এসে জড় হচ্ছেন। স্বজনদের জীবিত কিংবা মৃত সন্ধান চান তারা। মহর আলী নামের এক লঞ্চ যাত্রীর ভাই বলেন, 'আমার ছোড ভাই ফরিদ লঞ্চে আছেলে এ্যাহন পোরযন্ত কোন খবর পাই নাই। বাইচ্চা আছে না কি অইছে কইতে পারি না। ভাইর খোঁজ চাই।' এ কথা বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। ক্রমশ স্বজনদের ভির বাড়ছে দূর্ঘটনা কবলিত এলাকায়। এর সাথে রয়েছে উত্সুক জনতার ভির।
পটুয়াখালী বিআইডাব্লিইটিএ সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চটি উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম বরিশাল থেকে রওয়ানা হয়েছে।
গলাচিপা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী সায়েমুজ্জামান বলেন, 'গলাচিপা উপজেলা প্রশাসন উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন