নজরুল ইসলাম,বাউফল থেকে: বাংলাদেশের বাজার
ছেয়ে গেছে কৃত্রিম ডিমে। সাধারন
মানুষের না বুঝে কৃত্রিম ডিম ক্রয়
করে খাচ্ছে। আর মারাত্বক
স্বাস্থঝুঁকিতে পরছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের
থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞান
সাময়িকি "দি ইন্টারনেট জারনাল
অফ টোক্সিকোলজি" এর এক
প্রতিবেদনে দাবী করা হয়েছে যে কৃত্রিম
ডিমে কোন প্রকার খাদ্য গুণ
বা প্রোটিন নেই। বরং এটি বিষাক্ত।
কৃত্রিম ডিম
তৈরিতে যে রাসায়নিক পদার্থ
ব্যাবহৃত হয় তা হচ্ছে ক্যালসিয়াম
কার্বনেট, রেসিন, স্টার্চ ও
জিলেটিন। এগুলোর প্রত্যেকটি মানব
দেহের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর।
দীর্ঘদিন যাবৎ এই কৃত্রিম ডিম
খাওয়ার ফলে স্নায়ুতন্ত্র ও কিডনী নষ্ট
হয়ে যেতে পারে। ফুসফুসের
ক্যান্সারসহ অন্ত্রপ্রদাহের কারন
হতে পারে।
আমরা একটু সচেতন হলেই কৃত্রিম ডিম
চিনতে পারি। কৃত্রিম ডিম সব সময়
আকারে প্রাকৃতিক ডিমের
চেয়ে কিছুটা হলেও বড় হয়। এর খোলস
সাধারন ডিমের তুলনায় একটু
বেশি মসৃন হবে। কৃত্রিম ডিম খুব
হালকা খোলসের
হয়ে থাকে যা সামন্য জোড়ে চাপ
দিলেই ভেঙ্গে যায়। কৃত্রিম ডিম
সিদ্ধ করলে কুসুমের রং পরিবর্তন
হয়ে বর্ণহীন হয়ে পড়ে। কিন্তু সাধারন
ডিমের বেলায় সেটা ঘটেনা।
ভাজার জন্য কৃত্রিম ডিম ভাঙ্গলে এর
কুসুম এমনি এমনি ছড়িয়ে পরে, কিন্তু
সাধারন ডিমের কুসুম নিজেদের
ছড়িয়ে দিতে হয়।
নিজে সচেতন হন, অন্যকে সচেতন করুন।
নিজে সুস্থ থাকুন, অন্যকেও সুস্থ
থাকতে সহায়তা করুন।
সোমবার, ১২ মে, ২০১৪
কৃত্রিম ডিম থেকে সাবধান!
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন