বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০১৪

এ কেমন সন্তান যে তার মায়ের উপর নির্যাতন করে !

কলাপড়া থেকে লিটন: মাত্র ছয় শতাংশ জমি লিখে না দেয়ায় আশির্ধ্বো বৃদ্ধা মা হাচেন ভানু নিজ সন্তান,পুত্রবধু ও নাতীদের মারধরে এখন বাকশক্তি হারিয়ে ফেলছে। টানা চারদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও এখনও সে সোজা হয়ে দাড়াতে পারছে না। মানুষ দেখলেই দু’চোখের জল ফেলে তার অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নীলগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিজের শেষ সম্বল জমিটুকু রক্ষায় ছেলে হাচান মৃধা, পুত্রবধু শাহিনুর বেগম ও নাতি শাহিন ও সুমনের বিরুদ্ধে কলাপাড়া উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালত প্রত্যেক আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। পুলিশ এ ঘটনায় শাহিন ও সুমন কে গ্রেফতার করেছে।
কলাপাড়া সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিনে নীলগঞ্জ গ্রামের এ বর্বর ঘটনা গত রোববার রাতে সাংবাদিকরা জানতে পারেন হাচেন ভানুর কান্নার শব্দে। ছোট ছেলে আমিরকে সাথে নিয়ে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে এসে এ ঘটনার বিচার কামনা করেন। কিন্তু কি ঘটেছিল এ ঘটনা জানতে চাইলে হাচেন ভানুর শুধু চোখের জলই ঝড়েছে।
বিলম্বে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, চার পুত্র সন্তান রেখে হোচেন ভানুর স্বামী আইজউদ্দিন মৃধা প্রায় ২০ বছর আগে মারা যায়। এরপর থেকে সে ছোট ছেলে আমিরের সংসারেই থাকতো। গত ১৭ এপ্রিল সকালে তার বড় ছেলে হাচান তার নামে ছয় শতাংশ জমি লিখে দিতে বলে। কিন্তু জমি লিখে না দেয়ায় হোচেন ভানুর উপর এমন নির্মম নির্যাতন চালায়। বাশের লাঠি, বসার পিড়ি দিয়ে আঘাত করেও ক্ষান্ত হয়নি। চুলের মুঠি ধরে এই বৃদ্ধাকে মাটিতে ফেলে দেয় বলে বৃদ্ধার ছেলে আমির জানায়। গর্ভজাত সন্তানের এমন নির্যাতনে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চারদিন চিকিৎসা নিয়ে ২১ এপ্রিল আদালতে মামলা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুল করিম জানান, বৃদ্ধাকে মারধরের ঘটনাটি গোটা এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন