শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৪

বিয়ের বয়স পরিবর্তন হচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনেক বিতর্কের পর মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ ও ছেলেদের
বিয়ের বয়স ২১ রাখারই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। একই সঙ্গে বাল্যবিবাহের অপরাধের বিচারকাজ দ্রুত সম্পন্ন ও
করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়
এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার
বৈঠকে ছেলেদের বিয়ের বয়স কমিয়ে ১৮ ও মেয়েদের ১৬ করা যায় কি না,
তা পরীক্ষা করে দেখার বিষয় হআলোচিত হয় এবং ‘বাল্যবিবাহ রোধে আইন, ২০১৪’ অনুমোদন দেওয়া হয়। গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ হগপ্রকাশিত হওয়ার পর সমালোচনার গমুখে পড়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)
মেয়েদের আইনসিদ্ধ বিয়ের ন্যূনতম বয়স না কমানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের
প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তারা মনে করে,
এটা করা না হলে তা হবে বাল্য
হার কমিয়ে আনার অঙ্গীকারের
সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এদিকে বিভিন্ন মহলে এমন প্রশ্ন উঠেছে যে, ‘বাল্যবিবাহ রোধ
আইন, ২০১৪’-এর সঙ্গে ‘শিশুনীতি ২০১৩’ সাংঘর্ষিক। জাতিসংঘ শিশু
অধিকার সনদ অনুসারে শিশু বিল
২০১৩-এ ১৮ বছরের কম বয়সী প্রত্যেককেই শিশু হিসেবে গণ্য করা হয়।
মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন নারী ও শিশু সংগঠন থেকেও সমালোচনা করে বলা হয়,
মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করা একটি পরস্পরবিরোধী চিন্তা
একদিকে সরকার নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলছে, অন্যদিকে বিয়ের বয়স কমানোর
বিধান করতে চাইছে, যা দেশকে পেছনের
দিকে ঠেলে দেবে। জানতে চাইলে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের
আফরোজ চুমকি বলেন  ‘সব দিক
বিবেচনা করেই আমাদের সিদ্ধান্ত দিতে হচ্ছে। আমরা মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮
ও ছেলেদের বিয়ের বয়স ২১ রাখারই চিন্তাভাবনা করছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন