নিজম্ব প্রতিবেদক: মহাজোট সরকারের ২০১৪-১৫ অর্থবছরের
প্রস্তাবিত বাজেট বৃহস্পতিবার
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত পেশ
করছেন। এবারের বাজেটের আকার ২
লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা।
রাজস্ব আয়ের
লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৮২
হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা।
ফলে বাজেট ঘাটতি দাঁড়াচ্ছে ৬৭
হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ
মোট দেশজ উত্পাদনের তুলনায়
ঘাটতি ধরা হয়েছে ৫%।
জিপিপি প্রবৃদ্ধি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন,
অনুমান ও প্রত্যাশার
ভিত্তিতে আমরা আগামী ২০১৪-১৫
অর্থবছরে ৭.৩% জিডিপি প্রবৃদ্ধির
লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি।
তবে অনুদান বাদ
দিলে ঘাটতি গিয়ে পৌঁছাবে ৬১
হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা।
শতকরা হিসাবে যা ৪.৫%। প্রস্তাবিত
বাজেটে ৬ হাজার ২০৬
কোটি টাকার অনুদান
পাওয়া যাবে বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, বার্ষিক উন্নয়ন
কর্মসূচি (এডিপি) ধরা হয়েছে ৮০
হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ
ঋণ ৪৩ হাজার ২৭৭ কোটি, বৈদেশিক
ঋণ ১৮ হাজার ৬৯
কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সামনের
বছরে প্রবৃদ্ধি বাড়ার
সঙ্গে সঙ্গে আমাদের রপ্তানি ও
জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।
আর্ন্তজাতিক
বাজারে জ্বালানি তেলের দাম
কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। মানব
সম্পদ উন্নয়নের হার বাড়বে।
বিদেশি বিনিয়োগ ও ঋণপ্রবাহ
বাড়বে।
তিনি আরো বলেন, দশম জাতীয় সংসদ
নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে বিরোধী দল
ব্যাপক সহিংতা চালায়। তাদের
সহিংসতায় যোগাযোগ
ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। পাইকারি ও
খুচরা ব্যবসায় নেমে আসে অন্ধকার।
সরকারি সম্পদ হয়ে উঠে আক্রমণের
লক্ষ্যবস্তু হিসেবে। এর প্রভাব
পড়ে অর্থনীতিতে। কমে যায় কর
রাজস্ব।
তিনি বলেন, বিশ্বমন্দার পর আমাদের
অর্থনীতি আবার পুনরায়
জেগে উঠতে শুরু করেছে। মৎস্য ও
প্রাণী খাতে উল্লেখযোগ্য
হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
সেবাখাতে প্রবৃদ্ধি আশানুরূপ সাফল্য
পায়নি। আমরা ২০০৯-১০ সাল
থেকে শুরু করে প্রত্যেক বছরই ৬%
হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম
হয়েছি। ২০১২
সালে ব্যক্তি মালিকানাধীন
খাতে প্রবৃদ্ধি কমে গেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন