সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

অভিনেতা খলিলের প্রথম মৃত্যুবাষির্কী

বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই ছবির শক্তিমান অভিনেতা খলিল উল্যাহ খান যিনি খলিল নামেই পরিচিত ছিলেন। আজ তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। গেল বছরের এই দিন সকালে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান খলিল। ষাটের দশকের চলচ্চিত্রের নায়কের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নানা আয়োজন হাতে নিয়েছে বেশ কিছু সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। তার মধ্যে খলিলের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বাদ জোহর পারিবারিক উদ্যোগে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলেরও আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান জানান, সোমবার বাদ আছর এফডিসির শিল্পী সমিতির অফিসেও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি শৈশব মেলা নামের একটি সংগঠনের আয়োজনে সোমবার দুপুর ২টায় তার বিদেহি আত্মার শান্তিকামনা করে বিকালে মোহাম্মদপুর কবরস্থানে তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কবর জিয়ারত ও ফাতেহা পাঠ করা হয়। প্রসঙ্গত, খলিল উল্লাহ খান ১৯৩৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ভারতের মেদিনিপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক বাড়ি সিলেটের কুমারপাড়ায়। তার পিতা মরহুম শফিউল হক খান ও মা মেহেরুন্নেছা। তার বাবা পুলিশ অফিসার ছিলেন বলে তাকে মেদিনিপুর, কৃষ্ণনগর, বগুড়া, বর্ধমান, নোয়াখালী যেতে হয়। খলিলের শৈশব জীবন কেটেছিল এসব জেলাতেই। ১৯৪৮ সালে সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন খলিল। এরপর ১৯৫১ সালে মদনমোহন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দেন। সে বছরই সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য পরীক্ষা দিলেও শেষ পর্যন্ত চাকরি করার সৌভাগ্য হয়নি খলিলের। তবে ১৯৫৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর তৎকালীন আনসার বাহিনীতে অ্যাডজুটেন্ট হিসেবে যোগ দেন। দীর্ঘদিন আনসার ডিপার্টমেন্টে চাকরী করার পর বয়সের কারণে ১৯৯২ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন। ছবির নায়ক হওয়ার মাধ্যমে রূপালি পর্দায় অভিষেক হয় তার। পরে এসএম পারভেজ পরিচালিত ‘বেগানা’ ছবিতে প্রথমবার খলনায়ক হিসেবে অভিনয় করেন খলিল। নেতিবাচক চরিত্রেও তার অভিনয় প্রশংসিত হয়। এরপর খলনায়ক হিসেবেই নিয়মিত কাজ করতে থাকেন তিনি। ফলে নায়ক চরিত্রে আর ফেরা হয়নি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন