শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৪

ঘাতকদের ভয়াল থাবা থেকে বাঁচতে পারেনি শিশু রাসেল

সোনালী ডেস্ক: ঘাতকের ভয়াল থাবা
বাঁচতে চিৎকার করেছিল ১০ বছরের
শিশু রাসেল।  বাবা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে কর্মচারীর কোলে প্রাণের
সন্ধানে ঝাপিয়ে পড়েছিল।
পালাতে চেয়েছে। কিন্তু রক্তাক্ত
করিডোর আর নরপশুদের থাবা তাকেও
ছাড়েনি। মায়ের লাশ দেখার পর
অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মিনতি করেছিল
শিশুটি ‘আমাকে হাসু আপার
কাছে পাঠিয়ে দিন’।
তাই তো পরিবারারের আর সবার মতো মৃত্যুই পরিণতি হয়েছে শিশু রাসেলের
ভাগ্যেও। মায়ের কাছে যাবার
মিনতি করলেও ‘মা বেঁচে নেই’!
কি অসম্ভব যন্ত্রণা! মায়ের লাশ
দেখে বড় বোনের কাছে যাবার
মিনতি করেছিল। মিনতি করেছিল একটু
বেঁচে থাকার। কিন্তু নিষ্ঠুর, নরাধম ও
ইতিহাসের
পশুরা বাঁচতে দেয়নি শিশুটিকে।
বুলেটের আঘাতে বুক চিড়েছে তারও!
ক্ষতি-বিক্ষত করেছে বাংলাদেশের
স্বপ্নের সঙ্গে তাকেও।
কি অপরাধ ছিল এই শিশুটির? নির্মমতার
চরম পর্যায়ে সেদিন খুন হতে হয়েছিল
তাকেও। বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ
রাসেলের কথাই বলছি। ১৯৭৫ সালের
১৫ আগস্টের
কালো রাতে পিতা বঙ্গবন্ধু
এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের
সঙ্গে শহীদ হন রাসেল। সে সময় তার বয়স
ছিল মাত্র ১০ বছর। আজ বেঁচে থাকলে হতেন ৪৭ বছরের যুবক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন